একা

শুন্যতা (অক্টোবর ২০১৩)

সৈয়দ আহমেদ হাবিব
  • 0
আমি যখন একা হতে হতে আরো একা হয়ে গেলাম, তখন আমি একাই থাকতাম। একা একা হাঁটতাম আমি। হেঁটে হেঁটে একা একা। আমি তখন খুব একা, আর হাঁটতাম আমি। আর আমি একা হয়ে যেতাম। আমি ভাবতাম আর হাঁটতাম, আর হাঁটতাম আর ভাবতাম। আমি রাস্তার পাশ দিয়ে একা হেঁটে চলে যেতাম, আর আমি আমাকে নিয়ে যেতাম, আর আমি হাঁটতাম আর হাঁটতাম, আর আমি একা হয়ে যেতাম।আমি তখন একাই ছিলাম, আমি তখন হেঁটে হেঁটে হেঁটে কি জানি ভাবতাম।

আমার একটা সবুজ ব্যাগ ছিল। ব্যাগটা আমি কাঁধে ঝুলিয়ে হাঁটতাম, তারপর আমি হাঁটতাম। সকাল বেলা আমার অফিস যাবার তাড়া ছিল আমি তাই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে রিকশা খুজঁতাম। প্রতিদিন রিকশা পেতাম এমন নয়, তখন আমি হাঁটতাম, হেঁটে হেঁটে মেইন রোডে গিয়ে আমি বাসে চড়তাম। আমার সবুজ ব্যাগটা আমি খুব ভালবাসতাম, আমি এমন আলতো করে ওটা রাখতাম যেন দুপুরের খাবার ক্যারিয়ার গড়িয়ে মাছের ঝোলটা আবার ব্যাগ পর্যন্ত না গড়ায়, আমি ভীড় ঠেলে বাস থেকে নামতাম, তারপর খানিক পথ হাঁটতাম, তারপর অফিস পৌঁছে যেতাম।

অফিস ছুটির পর আমি হাঁটতাম। আমি উল্টো পথে হাঁটতাম। তারপর আমি হেঁটে হেঁটে হেঁটে। আমার পকেটে টাকা ছিল তবুও আমি হাঁটতাম। আমার পেটে ক্ষুধা ছিল তবুও আমি হাঁটতাম। আমি হেঁটে হেঁটে বারিক বিল্ডিং থেকে উল্টো পঁথে আগ্রাবদ চলে যেতাম, ওখান থেকে এক্সেস রোড হয়ে বড়পোল, তারপর আমি টেম্পু চড়ে বিশ্বরোড, তারপর বাসে চড়ে কাটগড়, তারপর হয় রিকশা নিতাম, না হয় আবার হাঁটতাম।

আমি তখন হাঁটতাম, আমার কোন তাড়া ছিলনা, আমি হেঁটেই চলতাম। বন্ধের দিনে হেঁটে হেঁটে কাটগড় থেকে ইপিঝেড চলে যেতাম, আবার হেঁটেই ফিরতাম। আমি পনের নাম্বার নৌকা ঘাটে চলে যেতাম, তারপর নদী পার হয়ে হাঁটতাম, তারপর আমি একা হয়ে যেতাম। আমি নদীর পাড়ে হাঁটতাম, হেঁটে হেঁটে অনেক দূর গিয়ে অন্য একটা ঘাটে চলে যেতাম, তারপর আবার নৌকা পার হয়ে এপাড়ে চলে আসতাম।

আমি শুধুই হাঁটতাম, চলন্ত ট্রাকটা আমার জন্য কষে ব্র্যাক ধরেছিল, আমি নির্লিপ্ত ছিলাম, ড্রাইভারকে ধন্যবাদ দেবার তাগিদ আমার তখন ছিলনা, ট্রাক ড্রাইভারের ও কি মনে হল জানিনা, আমাকে কোন গালি গালাজ না করেই চলে গেল, আমি নির্লিপ্ত থেকেই হেঁটে চলে যেতাম।

আমি একা রাস্তায় হাঁটতাম। আমার পাশে মানুষগুলোও হেঁটে চলে যেত কিংবা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকত, আর গাড়ি গুলো চলে যেত তাদের গন্তব্যের দিকে, আমার তখন কোন গন্তব্য ছিলনা, তবুও আমি হাঁটতাম আর হাঁটতাম। আমি তখন খুব একা ছিলাম, আর আমি এভাবে একা হয়ে যেতাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াছিম একই শব্দ বার বার বার বার.............. পড়তে কি ভালো লাগে? বুঝতে পারলাম না।
জাকিয়া জেসমিন যূথী চমৎকার। শুধু হাঁতাহাঁটি দিয়েও যে এরকম গল্প তৈরী করা যায় আগে জানা ছিলো না। আসলেই ভালো লেগেছে।

১৬ মে - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ২৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪